৳ ৩২০ ৳ ২৭২
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
আংটিবদলের অনুষ্ঠান সব জুটির কাছেই বেশ আবেগঘন একটি মুহুর্ত । কেননা আংটিবদলের আয়োজন দিয়ে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা । কয়েক বছর আগেও আংটিবদলের আয়োজনটি নিয়ে বিশেষ ভাবনা দেখা যেত না এ দেশে । গুরুজনেরা পাত্রী দেখতে এসে পছন্দ হলে হাতে আংটি পরিয়ে দিতেন । যুগ বদলেছে । বদলাচ্ছে রীতি । এখন আংটিবদলের অনুষ্ঠান হয় বিয়ের অনুষ্ঠানের মতোই বড়ো আয়োজন করে । রাফার পরিবারেরও এমন ইচ্ছে ছিল । কিন্তু সময় এর অভাবে তা হয়ে উঠেনি ৷ ঘরোয়াভাবে সম্পন্ন করতে হচ্ছে অনুষ্টানটি ।
বাড়িতেই ছোট্ট একটা স্টেজ সাজানো হয় । রওশন আরা ও রোকেয়া রান্নার আয়োজন সেরে নেন । যেহেতু বেশি মানুষের আয়োজন নয় ।
পার্লার থেকে সেজে আসে রাফা । ইবাদাত বাড়িতে এসে ওর জন্যে অপেক্ষা করছিল । সাদা গাউনে রাফাকে সাদা পরীর মতো লাগছে । মাথায় দিয়েছে ও সাদা ওড়না । ওকে দেখে ইবাদাতের চোখে চলে আসে পানি । রাফা কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বলল, তোর আগে আমার বিয়ে হচ্ছে বলে দু:খ পাচ্ছিস! বিয়ের সুখ তুইও পাবি । দু:খ করিস না ।
ইবাদাত ওকে ছেড়ে বলল, ধ্যাত! খুব বেশি বলিস ।
-আয় ছবি তুলি কয়েকটা । বরপক্ষ চলে এলে ঢং করে তুলতে পারব না ।
যদিও নিজেকে বোরকা ও নিকাবে ঢেকে রেখেছে ইবাদাত, তবুও রাফার সঙ্গে এভাবেই কয়েকটা ছবি তুলে নেয় ও । এরপর একা ছবি তুলতে থাকে রাফা । কলিংবেলের শব্দ শুনে ওকে নিয়ে তাড়াতাড়ি রুমে চলে আসে ইবাদাত ।
রাফা রুমে এসে বলল, টেনে আনলি কেন? ওয়েলকাম করতাম ওদের!
-বউ মানুষ বুঝি এসব করে!
-শালিকা করে । তবে তুই যা! গেইট আঁটকে টাকা নিয়ে আয় ।
-ওসব আমি করব না তুই ভালো করেই জানিস ।
-তবে কী করবি?
-তোকে দেখব মন ভরে । কী সুন্দর লাগছে তোকে ।
-ওর ভালো লাগবে তো আমায়?
-পাগল হয়ে যাবে । আজ এনগেজমেন্ট না করে একেবারে বিয়েই দিতে পারতো । পরে নাহয় আঙ্কেল আসলে আয়োজন করা হত ।
-বাবা ছাড়া বিয়ে!
-তোরা গুনাহ থেকে বাঁচতে পারতি ।
-এনগেজমেন্ট হচ্ছে । বিয়েটা মাত্র কিছুদিন পরেই । এখনো এসব ভাবছিস তুই!
রাফার মন খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে ইবাদাত কথা ঘুরিয়ে বলল, ছাড় ওসব । খিদে পেয়েছে তোর?
যিহানের পরিবার থেকে খুব বেশি কেউ আসেনি । মা, বাবা, বোন ও দুই চাচার পরিবার এসেছেন ।
রাফার পরিবারেরও রোকেয়া, রাফার মামা ও ইবাদাতের পরিবার ছাড়া বলা হয়নি কাউকে ৷ কেননা রাফার চাচার সঙ্গে ওদের সম্পর্ক এতটা ভালো নয় । বিয়েতে সবাইকে বলবেন ঠিক করেছেন ।
ইবাদাতের মা আসেননি । বিয়েতে আসবে জানিয়েছেন ৷ সবমিলিয়ে ঘরোয়া ভাবেই আয়োজনটা করা হয় ।
মেহমানদের আদর আপ্যায়নে ব্যস্ত রোকেয়ার স্বামী ও ভাই । মানুষ কম হলেও খাবারের আয়োজনে কোনো কমতি নেই । ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমও বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন ওরা ।
হরেক রকমের নাস্তা সাজানো হয় টেবিলে । খাওয়া শেষে স্টেজে আনা হয় যিহানকে । ডাকা হয় রাফাকে । মামাতো বোন রুবি রাফার রুমে ওকে নিতে আসে ।
রাফা ইবাদাতের হাত ধরে বলল, কেমন যেন নার্ভাস লাগছে ।
-স্বাভাবিক । নতুন একটা জীবনের শুরু আজ থেকে ।
-আর তুই আমার পাশে আছিস বলেই ভরসা পাচ্ছি ।
ইবাদাত হেসে বলল, চল ।
ওরা স্টেজের সামনে আসে । যিহান ওর ভাই বোনদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিল । রাফা এসেছে শুনে সেদিকে তাকায় ও ৷ রাফাকে দেখেই মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে ।
রাফাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বরের দিকে তাকায় না ইবাদাত । ওর গাউন সামলে ওকে নিয়ে স্টেজে উঠে আসে ইবাদাত । যিহানকে রাফার ঠিক সামনেই আনা হয় । এইবার চোখ তুলে বরের দিকে তাকায় ইবাদাত । আর তাকাতেই বিস্ময় এর শেষ পর্যায়ে চলে যায় ও । অবাক হয়ে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে যিহানকে দেখছে ও । যিহান এখানে!
রাফাও চোখ তুলে তাকায় যিহানের দিকে । সাদা স্যুটে ওকে মানিয়েছে দারুণ । এ যেন রাফার স্বপ্নের পুরুষ!
ইবাদাতের দিকে চোখ পড়তেই রাফা দেখলো, ও যিহানের দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে । রাফা হালকা কেশে ফিসফিস করে বলল, ক্রাশ খেয়েছিস?
ইবাদাত নজর সরিয়ে বলল, কীসব বলছিস । আর ইনি কে? তোর বর কোথায়?
-ইনিই আমার তিনি ।
-আর ছবির জন?
-যিহানের বন্ধু । আমি মজা করেছি তোর সঙ্গে । আর এটাই ছিল সিক্রেট ।
ইবাদাতের চারপাশ অন্ধকার মনে হচ্ছে । এমন কিছু ওর সামনে আসবে ভাবেনি কখনো । কী করবে ও! যিহান সম্পর্কে সত্যিটা বলে দেবে রাফাকে? রাফার মনটা যে ভেঙে যাবে এতে ৷
Title | : | প্রিয় বান্ধবী |
Author | : | সাজি আফরোজ |
Publisher | : | বর্ণলিপি প্রকাশনী |
Edition | : | 1st Published, 2024 |
Number of Pages | : | 228 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
সাজি আফরোজ। ৩রা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা মাহাফুজুল ইসলাম। মাতা আফরোজা খানম এবং স্বামী সাইফুল আলম। চট্টগ্রামের মেয়ে তিনি। বর্তমানে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন চট্টগ্রাম কলেজে। লেখিকা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালিখি করে আসছেন। ইতোমধ্যে তিনি তার লেখার মাধ্যমে পাঠক হৃদয়ে জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রেম, ভালোবাসা, দেশ, প্রকৃতি, ধর্মসহ সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন তিনি। অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সাধারণ মানুষের জীবনের কাহিনীগুলো তার হাতের ছোঁয়ায়। 'বান্ধবী' তার পঞ্চম উপন্যাস। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে আরও তিনটি যৌথ বইতে তার লেখা।
If you found any incorrect information please report us